২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

এআই নিয়ে আশাবাদী বিল গেঁস

-

মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বরাবরই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে আশাবাদী। তার মতে, এই প্রযুক্তি আগামী পাঁচ বছরে আমাদের জীবন বদলে দেবে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গেটস বলেন, ১৯০০ সালের দিকে কৃষি উৎপাদনশীলতার যন্ত্র আবিষ্কার দেখেও অনেকে ভেবেছিল, তাহলে মানুষ কী কাজ করবে? কিন্তু এর ফলে আসলে অনেক নতুন জিনিস, অনেক নতুন চাকরির ক্ষেত্র তৈরি হয়-

গেটসের ভবিষ্যদ্বাণী, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রত্যেকের জীবনকে আরো সহজ করে তুলবে। বিশেষ করে চিকিৎসকদের তাদের ব্যবস্থাপত্র তৈরির কাজে এটি বেশ সাহায্য করবে। যা তাদের কাজের একটি অংশ হলেও তারা সেটি করতে পছন্দ করেন না। এ ক্ষেত্রে আমরা কাজটিকে কমিয়ে আনতে পারব। যেহেতু এ ক্ষেত্রে অনেক নতুন হার্ডওয়্যারের প্রয়োজন নেই। আপনি ইতোমধ্যেই ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে যে ফোন বা পিসি ব্যবহার করেছেন, তা দিয়েই এআই অ্যাক্সেস করা যাবে।
ওপেনএআইর চ্যাটজিপিটি-৪ এর উন্নতি ছিল নাটকীয়। কারণ এটি পড়তে এবং লিখতে পারে। যা অনেকটা একজন হোয়াইট কলার কর্মী থাকার মতোই। যিনি একই সাথে একজন শিক্ষক, স্বাস্থ্য পরামর্শক, কোড লিখতে সহায়তাকারী, টেকনিক্যাল সহায়তা কলে সাহায্যকারীর কাজ করতে পারেন।
যদিও আইএমএফের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন থেকে ততটা আশাবাদী হওয়া যায় না। তারা জানায়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা রাজনীতিবিদদের হস্তক্ষেপ ছাড়াই বৈষম্যকে আরো গভীর করবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থানের ফলে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের চাকরি হারানোর ভয় জেগেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চলতি সপ্তাহের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে সারা বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ চাকরি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
যদিও গেটস এই ধারণাকে পুরোপুরি উড়িয়ে দেন না। তবে তিনি বিশ্বাস করেন যে, ইতিহাসে যখনই কোনো নতুন প্রযুক্তি এসেছে তখনই সেগুলো নতুন কিছু ভয়ের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু তারপরেই আবার নতুন নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচন করেছে সেই প্রযুক্তিগুলো।


আরো সংবাদ



premium cement